কক্সবাজার জেলা পরিষদের ভোট যুদ্ধ শেষ হয়েছে। বহু প্রত্যাশিত এ নির্বাচন জনপ্রতিনিধিদের ভোটা ধিকার প্রয়োগের মধ্যদিয়ে সোমবার (১৭ অক্টোবর) শেষ হয়।এই নির্বাচনে ছিলো রিটার্নিং অফিসার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুর রশীদ এবং জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, চারবারের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি মোজাম্মেল হকের পুত্র শাহিনুর হক মার্শাল ও জগদীশ বড়ুয়া পার্থ।.
এ লড়াইয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহিনুল হক মার্শাল। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৭৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহন চলে। জেলার মোট ৯টি কেন্দ্রের ১৮টি বুথে এই ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। .
এবারের নির্বাচনে মোট ৯৯৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৯৮৮ জন ভোটাররা। এরমধ্যে ৫টি ভোট বাতিল হয়। সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ড থেকে জাফর আহমদ, ২নং ওয়ার্ড থেকে হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ৩নং ওয়ার্ড থেকে মাহমুদুল করিম মাদু, ৪নং ওয়ার্ড থেকে ফরিদুল আলম, ৫নং ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরিফুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড থেকে আবু তৈয়ব, ৭নং ওয়ার্ড থেকে শওকত হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড থেকে নুরুল ইসলাম ভুট্টাে, ৯নং ওয়ার্ড থেকে শহিদুল ইসলাম মুন্না নির্বাচিত হন।.
এছাড়া মহিলা সদস্য পদে হুমাইরা বেগম, আশরাফ হোসেন কাজল ও তানিয়া আফরিন নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর ছড়িয়েছিল টাকার। এনিয়ে জাতীয় স্থানীয় এবং বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। যা প্রশাসন পর্যায়েও পৌঁছেছে। সুশিল সমাজ মনে করেন, এপ্রথা বড় ভয়ানক। অসুস্থ নির্বাচনের প্রতিযোগিতার অংশবিশেষ। টাকায় যারা ভোট কিনেন তাদের বর্জন করতে হবে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। . .
ডে-নাইট-নিউজ / কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: